রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে একটি সংঘবদ্ধ চক্র ইজারা ছাড়াই টোল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর অভিযোগের ২মাস ১৮দিন গত হয়ে গেলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করেননি তিনি। এ নিয়ে যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে রুক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। এমনটা দেখা যায় রৌমারী উপজেলার কাজাইকাটা এলাকার জিঞ্জিরাম ঘাট এলাকায় ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, টোল আদায় না করার শর্তে গ্রামবাসীদের নিকট থেকে বাঁশ ও টাকা আদায় করে একটি সাঁকো নির্মাণ করে তারা। কিন্তু সাঁকো নির্মাণের পর ভ্যান প্রতি ৫০, মোটরসাইকেল প্রতি ২০ ও পায়েদল মানুষের নিকট থেকে ১০ টাকা করে আদায় করছে। যার পুরো টাকাই ঢুকছে আমবাড়ির বক্তার হেসেনের ছেলে খায়রুল, মৃত বহুল উদ্দিন ছবিয়াল, নবুল্লা শেখের ছেলে ফকিরা, নূর হেনেরে ছেলে হামিয়াল,কাজাইকাটার রহিজ উদ্দিনের ছেলে জবান মুন্সি, বারেক মিয়ার ছেলে সোনা মিয়ার পকেটে। এতে একদিকে যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার অন্যদিকে প্রতিনিয়ত হাতাহাতির ঘটনার ঘটছে।
ভুক্তভোগী ওই এলাকাবাসী গত ৯ জুলাই ইজারা ছাড়াই টোল আদায়ের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার উজ্জল কুমার হালদারকে লিখিতভাবে অবগত করেন। এরপর তিনি উভয় পক্ষকে ডেকে টোল আদায় করতে নিষেধ করেন। কিন্তু ওই চক্রটি এতে কর্ণপাত করেনি। তাদের এই অপতৎপরতার কথা বিভিন্ন মহল থেকে বারবার জানানোর ২মাস ১৮দিন গত হলে গেলেও ইউএনও কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করেন নি।
অভিযুক্ত খায়রুল বলেন- আমরা নিজের টাকা খরচ করে সাকোঁ নিমার্ণ করেছি তাই আমারাই টোল আদায় করছি। প্রশাসন কে আমারা চিনি না।
এলাকাবাসীর পক্ষে স্বাক্ষর করা ফুল মিয়া বলেন, প্রশাসন হয় ইজারার ব্যবস্থা করুক নয়তো টোল আদায় বন্ধ করুক। গ্রামবাসীর নিকট থেকে বাঁশ-টাকা আদায় করে সাঁকো নির্মাণ করে আবার গ্রামবাসীদের নিকট থেকে ইজারা ছাড়াই টোল আদায় করাটা কতটুকু বৈধ?
প্রশানসের ঊর্ধ্ব মহলে জানানোর পরেও সমাধান না হওয়ায় বিষটি নিয়ে ওই এলাকায় নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা যায়।
বিষয়টি নিয়ে ইউএনও উজ্জল কুমার হালদারের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।
Leave a Reply